Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
সোমবার । ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ । ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

যুবদলনেতা শামীম হত্যার দু’দিনেও মামলা হয়নি, আটক দু’জন পরিবারের জিম্মায়

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এসএম শামীমের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকালে গ্রামের বাড়ি তালা উপজেলার উথালিগ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এদিকে হত্যার দুইদিন পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা হয়নি। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে আনা দুই ব্যক্তিকেও তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১ টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারোমাইল গ্রামের নতুন বাড়ির তিনতলায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয় শামীম। এই ঘটনায় সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

এরা হলেন, মনিরামপুর উপজেলার কোন্দলপুর গ্রামের আবুবক্কার দফাদারের ছেলে এজাজুল ইসলাম (৪৩) ও তালা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের আহম্মদ আলী সরদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম সরদার (৩৮)।

পরিবারের অভিযোগ, এরা প্রতিরাতে তাদের বাড়িতে আসতো এবং ছেলের সাথে নেশা করত। এদিকে শামীমের পরিবার মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা হয়নি।

ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদ রানা জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিলো। পরবর্তীতে শনিবার রাতে তাদেরকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এজাজুল ও শরিফুল নামের এই দুই ব্যক্তি ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শামীমের বাসায় যায়। তারা কিছুক্ষণ পর আবার বেরিয়ে আসে। যা স্থানীয় একটি বরফ কল মিলের সিসি ফুটেজে দেখা গেছে। এরপর শামীম রাতের খাবার বাসায় খায়। তারপর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে রাত দশটার দিকে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে প্রায় এক ঘন্টার মত সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রবিবার দুপুর ১টা) থানায় মামলা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২৫ বছর আগে তালা এলাকা থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল বরফ মিলের পাশে জায়গা কিনে সেখানে তিনতলা বাড়ি করেন শামীমের আব্বা গফ্ফার শেখ। বর্তমান তিনি খুলনায় থাকেন। গত ২০ বছর আগে শামীমের মায়ের সাথে তার পিতার ডিভোর্স হয়। পরিবারটি মা দেখাশোনা করেন। শামীমের পিতা ও মাতা দু’জনই প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন